ফ্রিল্যান্সিং কি? এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত ২০২৩

ফ্রিল্যান্সিং কি? এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত ২০২৩

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ হচ্ছে স্বাধীন এবং মুক্ত পেশা। আমরা এটাকে অন্যভাবে বলতে পারি কোন প্রতিষ্ঠান বা কারো কমান্ডে চাকরি না করে স্বাধীনভাবে নিজের মতো কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে । আর এই ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাথে যারা জড়িত থাকে তাদেরকে মূলত আমরা বলতে পারি ফ্রিল্যান্সার। 


আমরা কেন ফ্রিল্যান্সিং করব ?

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মূলত দুইটি কারণ রয়েছে ।প্রথমত হচ্ছে স্বাধীনতা  এবং দ্বিতীয়  হচ্ছে টাকা।আর এখানে আমরা মনে করি স্বাধীনতাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।কেননা আপনি আপনার নিজের মতো করে যেকোনো টাইমে এটি করতে পারবেন ।এবং কি যেকোনো জায়গায়  শুধুমাত্র একটি ল্যাপটপ ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে। আর আমাদের বাংলাদেশ  ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। সব পেশার মানুষ এটি করতে পারে। 

আর আজকে আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং এর বেনিফিট কি ?

আমরা যদি ফ্রিল্যান্সিংকে যেকোনো জব বা চাকরি সাথে তুলনা করি। তাহলে একটা চাকরিতে আপনাকে প্রত্যেকদিন ৯ থেকে ১০ ঘন্টা ডিউটি করতে হবে । আর অপরদিকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন । 


চাকরিতে আপনাকে প্রত্যেকদিন একই কাজ করতে হয়।যার কারণে আপনি বোরিং ফিল করতে পারেন।আর অপরদিকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি দিন দিন নিত্যনতুন কাজ পাবেন। যেটা আপনার স্কিল ও কর্মদক্ষতাকে আরো বেশি উপরে তুলে নিয়ে যাবে। যার কারনে আপনার বোরিং এর কোন ফিল আসবেনা। 

চাকরির ক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট একটা বেতন পাবেন। 

আর অপরদিকে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডলার এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। 

আর একটা সময়ের পর আপনার ফ্রিল্যান্সিং এর আয় চাকরি থেকে অনেক বেশি আয় হবে।


চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক সময় অনেক জায়গায় যেতে হয়। ট্রাফিক জ্যামে বসে থাকতে হয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন এতে করে আপনার ট্র্যাফিক জ্যামে  পড়তে হবেনা অনেক টাইম বেঁচে যাবে।

চাকরি করতে গেলে আপনার নির্দিষ্ট একটা বস থাকবে এবং কি তার কথা গুলো আপনার শুনতে হবে । আর অপরদিকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার কোনো নির্দিষ্ট বস থাকবে না আপনার বস আপনি নিজেই । চাকরির ক্ষেত্রে আপনি যদি চান আপনার ফ্যামিলিকে ইচ্ছামত টাইম দিতে পারবেন না। আর অপরদিকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি আপনার ফ্যামিলিকে প্রচুর টাইম দিতে পারবেন।

আমরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারি ?

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আপনার অনেকগুলো অপশন আছে ।এগুলোর মধ্যে আপনি যেকোনো একটি সিলেক্ট করে নিতে পারেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে?  


  • ১-প্রোগ্রামিং  
  • ২-ডিজাইনিং  
  • ৩-ওয়েব ডেভেলপমেন্ট  
  • ৪-এসইও 

আর এগুলোর মধ্যে আপনাকে যে কোন একটা  সিলেক্ট করে নিতে হবে। এবং সেটার উপর স্কিল ডেভেলপ করতে হবে। আর উপরের অপশনগুলো ছাড়াও অনেক অপশন রয়েছে। যেটা আপনি গুগলে সার্চ করলে পাবেন । আর আপনার স্কিল ডেভেলপ হওয়ার পর  যেকোনো মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করবেন এবং  কাজ পাবেন । আর নিচে এসইও নিয়ে  কিছু আলোচনা করা হলো

বিগেনারদের জন্যএসইও নিয়ে বেসিক কিছু আলোচনাঃ

প্রথমে আমাদের জানতে হবে এসইও কিঃ

এসইও এর অর্থ হচ্ছে সার্চ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। কোন ওয়েবসাইট বা কিওয়ার্ড কে গুগলের ফাস্ট পেইজে আনার জন্য মূলত এসইও করা হয় । প্রত্যেকটি সার্চ ইঞ্জিনের কিছু গাইডলাইন থাকে আমরা যদি কোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে যাই। এবং যদি সার্চ ইঞ্জিন অর্থাৎ গুগলের গাইডলাইন অনুযায়ী তৈরি করতে পারি তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি রেঙ্ক করবে। এবং গুগলের ফাস্ট পেইজে দেখাবে এটাই হচ্ছে একজন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারের কাজ।


এসইও এর কাজ দুইভাবে করা যায় ।যথাঃ

  • ১. পেইড এবং 
  • ২. অর্গানিক অর্থাৎ ফ্রী।  

পেইডঃ যে পদ্ধতিতে টাকার বিনিময়ে ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেইজে আনা হয় যে পদ্ধতিকে পেইড এসইও ও বলা হয়। যেমনঃ

  • 1. PPC (Pay Per Click)
  • 2. Google Adwords
  • 3. Google Adsense


অর্গানিকঃ অর্গানিক এসইও হচ্ছে বিনা খরচে টাকা ইনকামের পদ্ধতি ।এর জন্য সার্চ ইঞ্জিনের অর্থাৎ গুগল কে কোন টাকা দিতে হয় না ।অর্থাৎ যে পদ্ধতির মাধ্যমে কোন প্রকার টাকা ছাড়াই ফ্রিতে ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে আনা যায় সে পদ্ধতিতে অর্গানিক অথবা ফ্রী এসইও বলা হয়।

আরো পড়ুন স্বাস্থ্য টিপস: মাথাব্যাথা দূর করার সহজ সমাধান

অর্গানিক এসইও 2 প্রকার যথাঃ

  • 1. হোয়াইটহ্যাট পদ্ধতি
  • 2. ব্ল্যাকহ্যাট পদ্ধতি

এসইও কত প্রকার ও কি কিঃ


এসইও মূলত দুই প্রকার যথাঃ (১) ব্ল্যাকহ্যাট এসইও 

এবং (২) হোয়াইটহ্যাট এসইও আবার হোয়াইট হ্যাট এসইও দুই প্রকার যথাঃ

 (ক) অনপেজ এসইও এবং (খ)অফপেইজ এসইও ।

ব্ল্যাক হ্যাটঃ 

যে পদ্ধতির সাহায্যে সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম নীতি না মেনে এসইও করা হয় তাকে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বলে।

আরো পড়ুন: ডায়বেটিস রোগীদের করণীয়

হোয়াইট হ্যাটঃ


যে পদ্ধতির সাহায্যে সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম-নীতি মেনে কিওয়ার্ড কে রেঙ্ক করানো হয় তাকে হোয়াইটহেড পদ্ধতি বলে। 

অনপেইজ এসইওঃ

অনপেজ এসইও হচ্ছে মূলত ওয়েবসাইট এর ভিতরে বা অভ্যন্তরে যে কাজগুলো করা হয়।

যেমনঃ

  • keyword in the title tag
  • Key word in meta description tag
  • Key word in the h1 tag
  • Using keywords in the copy of the page
  • The length of the content
  • Duplicate content
  • Conical tag
  • Image optimization
  • Content Update
  • Out Bound Links
  • Internal Links
  • Key word in URL


অফপেইজ এসইওঃ

 অফ পেজ এসইও হচ্ছে নিজের কোন ওয়েবসাইট এর বাইরেও যে কাজগুলো  অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেটেড কোন ওয়েবসাইটে যে কাজগুলো করা হয় তাকে বুঝায়। অফ পেজ এর একটি বড় উদাহরণ হল ব্যাকলিংক তৈরি করা। 

যেমনঃ

  • Link anchor
  • Contextual Links
  • The Number of linking domain
  • The number of linking pages
  • Domain authority of linking page
  • link relevancy
  • Authority of linking domain
  • Links form homepage
  • Many do-follow vs no-follow links
  • The diversity of link ত্যপেস

এসইও এর কিছু পেইড টুলস এর নাম  নিচে দেওয়া হলঃ

  • Ahrefs
  • SEmrush
  • MOZ
  • Keyword tool IO
  • Keyword revealer
  • Spyfu
  • SEO profiler
  • Logtail pro

এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ বা কেন আমরা এসইও করবঃ

আমরা যখন কোন কিওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ করি বা কোন ওয়েবসাইট সার্চ করি তখন আমরা অনেকগুলো রেজাল্ট দেখতে পাই। আমরা যখন নির্দিষ্ট কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি তখন আমাদের বলা হয় ভিজিটর। এবং যার ওয়েবসাইটে আমরা প্রবেশ করি তখন সে একটি আর্নিং জেনারেট করতে পারে। এসইও সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে পারলে আমরা পরবর্তীতে এসইও এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবো । 

 এসইও সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে আমরা ভালো কোন কোম্পানি তে জব নিতে পারি। এছাড়াও জব এর পরিবর্তে আমরা ঘরে বসেই আর্নিং করতে পারব। একটি দেশের বেকারত্ব দূর করার জন্য এসইও ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url